
২১ জুন ২০১৭
গতকাল কলেজ থেকে বাসে ফিরছিলাম। পাশে এসে বসল এ বছরই ভর্তি হওয়া আমার মতো একজন ছাত্র।
কলেজজীবন তো মাত্র শুরু হতে যাচ্ছে, এখন ভালো কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার প্রয়োজন আছে। এমনিতে যার-তার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করে না। ছাত্রদের মুখের দিকে তাকাই, কালো বা ফরসা প্রতিভাবান মনে হলে আগ্রহবোধ করি। পাশে বসা ছাত্রটিকে মন্দ লাগেনি। আগে বেড়ে জিজ্ঞেস করলাম সে আমাদের এইচ এমের শিক্ষার্থী কি না। জবাবে জানতে পারলাম, হ্যাঁ, একই কলেজে একই ক্লাসে এবারকার ছাত্র আমরা। তার নাম, ইমন। ইমনকে কথা প্রসঙ্গে বললাম, ‘আমি মাদরাসার ছাত্র ছিলাম।’ ইমন বলল, ‘তুমি তো এ পথে এসে ভুল করলে।’ বাস্তবে দু-তিন মাস নানান ঝামেলা কাটিয়ে, নিজের পরিকল্পনা যাচাই করে, পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি। মাদরাসায় প্রিয় উস্তাদকেও জানিয়েছি, আমার প্রতি তার নির্দেশ ছিল এমন, যেখানে যা-ই পড়ি, আমার দ্বারা সময়ের অপচয় যাতে কখনো না হয়, তা ছাড়া মাদরাসার পড়াও তো ত্যাগ করিনি।
ইমনকে বললাম, ‘এটা আসলে আমার সার্টিফিকেট পাওয়ার লোভ থেকে নয়, এ পথে এসেছি এখানকার কিছু পাঠ্য বিষয়ে একান্ত আগ্রহের কারণে।’ ইমন বলল, ‘কী বলব, সবখানেই যে বেহায়াপনা, এ পরিবেশ তোমার জন্য নাজুক হতে পারে।’
জানতে ইচ্ছা হলো, এটা সে কীভাবে উপলব্ধি করতে পারছে। ‘তাবলিগে’ সময় দিয়েছে কি না। সে জানিয়েছে, তাবলিগে যায়নি কখনো। তার পারিবারিক প্রভাবে এবং তার প্রকৃত স্বভাবের ফলেই সে এভাবে উপলব্ধি করতে পারছে। প্রসঙ্গক্রমে সে বলেছে, এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে মোবাইল ব্যবহার করছে না।