
হিমুর বয়স কত হলো? ওহ, দুঃখিত! আমি আদির কথা বলতে চাচ্ছিলাম। দুজনকে প্রায় একইরকম লাগে, কেবল যেন চরিত্রদ্বয়ের স্রষ্টাই ভিন্ন আর একজনের জীবন নিতান্তই উদ্দেশ্যহীন, একজনের জীবন কোনো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে চলা।
হিমুর উদাসীনতার কথাগুলো পড়ে অনেক হাসি পেয়েছে, হাসির তোড়ে… থাক, সেগুলোর কথা মনে করে আবার কী কাণ্ড ঘটিয়ে বসব। ওহহো, আমি সেই হিমুর কথাই বলতে শুরু করেছি! ধ্যাৎ, আদি বারবার হিমুই কেন হয়ে আসে!
হিমুর ইনটুইশন ক্ষমতা বলে একটা কিছু ছিল না? ওই যে কখনো কখনো ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারত! আমাদের আদি মোটেই সেরকম না, কিন্তু বাস্তবতার উলটো পিঠটা দেখিয়ে জীবন ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতায় সে দারুণ। প্রতিভাবান আদি তার মজার উদাসীনতা নিয়ে রহস্য-অভিযানেও পাড়ি জমায়। সত্যি সত্যি লাখ করে টাকা পকেটে পকেটে নিয়ে সে ডাকাতদের আহ্বান করে বিভ্রান্ত করে ফেলে। আমাদের আদি বই পড়ে, প্রকৃতি দেখে, মানুষের স্বভাব নিয়ে ভাবে, দ্বীনের পথে ডাকে, ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সামাজিক নানা সমস্যার সুন্দর অদ্ভুত প্রতিকারগুলোও কত সহজভাবে বলে দেয়।
আমাদের আদি এক প্রাসাদপুত্র ছিল, তার তখন কত ভঙ্গি, কত আয়োজন ছিল, কিন্তু সে ও-সবই ছেড়েছে! কিন্তু বেচারা আদি, অর্থ বা মোহ যা-কিছুই ছেড়েছে সব তার পেছনেই ছুটতে শুরু করেছে! দুনিয়ার কত অদ্ভুত নিয়ম! আর আদি যেন তার চেয়েও অদ্ভুত।
প্রেম-ভালোবাসা বলে আদির জীবনে কিছু ছিল? সে ছিল বইকি! কিন্তু আদির সে দৃশ্যগুলো দেখে, মানে পড়ে আরকি, না দুঃখে না সুখে বিষণ্ন হতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আদি নিজের উদাসীনতায় ভরা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যে-কাউকে উৎসাহে ভরপুর করে তোলে।
এক চমকানো মুহূর্তে শুরু প্রাসাদপুত্র আদির কাহিনি। জীবনের জটিল সমস্যাগুলোয় এ প্রাসাদপুত্রের মজার সমাধান দেখে যেকোনো বিষণ্ন মনই প্রফুল্ল হয়ে উঠতে পারে। সাধারণ সব বিষয়ে তার অভাবনীয় অনুভূতিগুলো পাঠকের মনকে ভরিয়ে তুলতে পারে। একের পর এক মুগ্ধ করা কাহিনিচিত্রে প্রাসাদপুত্রের সে এক অ-সাধারণ জীবন৷ আর বর্ণনাভঙ্গি? অনন্য!
বইটি সংগ্রহ করতে নিচের অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করুন—
(বইয়ের নামের ওপর ক্লিক করুন)