
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এ গল্পটি নেপালে হিমালয়ের পাদদেশের এক রহস্য নিয়ে। সেখানে কিনা দৈত্যাকার মানুষের অস্তিত্ব আছে। সারা পৃথিবী ঘুরে আরও কত রহস্যের কথা জেনেছিলেন লেখক, ভাবতেই অনুপ্রাণিত হই। অবশ্য এ গল্পে শেষমেশ বড় মানুষের ব্যাপারে বিশেষ কিছু প্রমাণিত হয়েছে।
একটা দাঁত, একটা দাঁত নিয়ে শুরু হয়েছিল। আশ্চর্যজনক বড় একটা দাঁত ছিল সেটি। মানুষেরই দাঁত, কিন্তু যা বড় ছিল তাতে সেটিকে কোনো দৈত্যের দাঁত না বলে উপায় ছিল না। সত্যি বলতে একটা সময় পৃথিবীতে সেই বড় মানুষদের অস্তিত্বই ছিল। ডারউইন যে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তা মিথ্যা প্রমাণ করেছে সেইসব মানুষ ও পূর্ববর্তী আরও প্রাণীদের কঙ্কাল (Skeleton), বৃহদাকার গাছ, অনেক পাহাড় যেগুলো কিনা পূর্ববর্তী সময়ের গাছের গুঁড়ি বলে প্রমাণিত হয়েছে, পৃথিবীতে আজও টিকে থাকা বহুকাল আগের অনেক স্থাপত্য নিদর্শন, যেগুলোর নির্মাণশৈলী আমাদের মতো সাধারণ খুদে আকৃতির মানুষেরই বলা স্রেফ বোকামি। তবে এ গল্পে আজও কোথাও যে দৈত্যাকার মানুষদের অস্তিত্ব আছে এমন যা বলা হয়েছে তাতে বেশ সন্দেহের অবকাশ আছে। কেননা, এটাও প্রমাণিত তথ্য যে আমরা মূলত সে দৈত্যাকার মানুষদেরই বহুপরবর্তী প্রজন্ম। হ্যাঁ, ডারউইনতত্ত্বের বাইরে ভিন্ন কিছুই বাস্তবে ঘটেছে।
কাকাবাবুর এক পায়ের সমস্যা নিয়েই পর্বতারোহণের চিন্তাটা ছিল উৎসাহ-উদ্দীপক। যদিও তা গল্প, কিন্তু গল্পের ধারণা তো বাস্তব থেকেই এসেছে। সন্তু আর কাকাবাবুর এটি আমার পড়া তৃতীয় গল্প।
তুষারপাত এখনো বাস্তবে দেখা হয়নি। পেঁজা বরফে নোরবু ভাইয়ের মতো টিজুতি বানানো তো দূর, গোলগাল বল বানানোও শেখা হয়নি। গল্পের এ সবই আমাকে আকর্ষণ করেছে।
বইটি সংগ্রহ করতে নিচের অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করুন—
(বইয়ের নামের ওপর ক্লিক করুন)