দিনলিপি

আম্মুর সাথে খুনসুটি

সুমাইয়া মীম

 

রাত এখন আনুমানিক প্রায় ১২টা বেজে ৪৮ মিনিট।

শনিবার শেষ হয়েছে ৪৮ মিনিট আগে। কিন্তু ফজর হওয়ার আগ পর্যন্ত মনে হয় যেন শনিবারেই আটকে আছি আমি। সেইজন্য শনিবারের কিছু কথা লিখতে এলাম।

আজ প্লেতে একটা নতুন বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। হুমায়রা!

পুরো আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মেয়েটা।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, তোমার বাসা কোথায়? একটুখানি মাথা চুলকে উত্তর দিলো, আমাগো নানিগো বাড়ির ওহোনে।

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, নানিগো বাড়ি কোনে?

ও উত্তর দিলো, আমাগো বাড়ি যেনে।

এটাই ওর ঠিকানা। যতবার জিজ্ঞেস করেছি, একই উত্তর পেয়েছি।

আগামীকাল, মানে আজ ভোরবেলা গ্রামে যাব সবাই মিলে।

বন্ধ শেষে আমরা ঘুরতে যাচ্ছি ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত, তাই না!

আসলে ছোট মামার শ্বশুরবাড়ি থেকে দাওয়াত দিয়েছে আমাদের সবাইকে। বন্ধ শেষ হলেও কিছু করার নেই। সকলের খাতিরে যাওয়াই লাগছে।

কোথাও যাওয়ার আগে আমি বারবার আম্মুর শরণাপন্ন হই।

আম্মু, এই জামাটা পড়ব নাকি ওইটা? এই জামার সাথে এই দুলটা ভালো লাগবে নাকি ওইটা?

চুড়ি কোনটা ভালো লাগবে, বলো তো!

বিভিন্নভাবে আম্মুকে জ্বালাতন করি। আম্মু কয়েকটা সিলেক্ট করে দেয়। আবার মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে বলে, যেটা ইচ্ছে সেটা পড়, যাহ!

একটু আগেও ভীষণ জ্বালাতন করলাম।

এরপর যখন একদিন অনেক সময় চলে যাবে, আম্মুর বাড়ির পারমানেন্ট অতিথি হয়ে যাব। সেদিন এইসব ভীষণ মিস করব।

ভীষণ মানে ভীষণ। একদম বিষম ভীষণের মতো!

০৭-০৭-২০২৪ রবিবার

Series Navigationহারিয়ে যাওয়া এক মাছের বাজার >>
এই রচনাটি ‘দিনলিপি : সুমাইয়া মিম’ সিরিজের একটি অংশ। মোট 2 অংশে বিভক্ত এই সিরিজটি। বর্তমান অংশটির ক্রমিক হলো 1। হ্যাপি রিডিং!

Related Articles

Back to top button
error: উঁহু, কপি করতে চান নাকি!