ওয়েসিস অফ দ্যা সিস

শৈশব-কৈশোর অনেক দিন আগেই পার করে আসা একজন জ্ঞানী পূর্ণবয়স্ক মানুষই কি কিশোর জীবনের সবকিছু ভালো করে বুঝতে পারেন, না স্বয়ং এক কিশোর যে নিজের ছোট্ট জীবনের স্বল্প সময়ের সদব্যবহার করে জ্ঞানের বিশাল রাজ্যে পদচারণা করতে পেরেছে সে? সেই কিশোর বইকি! জীবনের সব ভালোলাগা, ভালোবাসা, স্বপ্ন ও আশাকে পুঁজি করে লেখা তারই বইটি, ‘ওয়েসিস অফ দ্যা সিস’। এক কিশোর কীভাবে স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখার স্বাদ কেমন অনুভব করে তা কিশোর বয়সীই ভালো বুঝতে পারে। সেরকম একজন লেখকের লেখা বইটি, তার সমবয়সীদের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বয়ে বেড়ানো থেকে মুক্ত করতে, সমাজজীবনটাকে তাদের জন্য উপযোগী করে তোলার দিগনির্দেশনা দিয়ে লেখা বইটি এক নীরব বন্ধুহীন একাকিত্ব থেকে শুরু করে লক্ষ-কোটি সমবয়সীর জনস্রোতে মিশে যাওয়ার স্মরণীয় কাহিনি যা দেশ সমাজ পূর্ণভাবে বদলে দিয়ে একটি নতুন পৃথিবীকে দৃশ্যপটে তুলে আনে। ওয়েসিস অফ দ্যা সিস, একটি জাহাজ, একটি অন্যরকম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিবিয়ান থেকে আটলান্টিক পার হয়ে ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, ভারত মহাসাগর হয়ে অতঃপর চীনের হংকংয়ের সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে। এর মাঝেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাহিনিগুলো পড়ে পুলক অনুভূত হয়।
বইটির পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। ওয়েসিস অফ দ্যা সিস, হোয়াঙহো অববাহিকায়, ভলগার পাড়ে, কিউবা একটি দেশ এবং সর্বশেষ সেই দেশ আমেরিকা। এর মাঝেই গল্পের কাহিনির সাথে মিলেমিশে আছে নানা শাস্ত্র-বিদ্যার কথা। আছে সমাজ, অর্থনীতি; গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কথা। চীন-রাশিয়ার ইতিহাসের ওপর চোখ বুলানো। ভলগা নদীর ভালোবাসা। আছে জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোল। ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারার কিউবার কথা, সেই দেশের ছোট্ট সফরনামা। অতঃপর আমেরিকার স্বরূপ, তার সমাজ-সংস্কৃতি, সাধারণ জীবনধারা ও মানুষের প্রকৃতির বিশ্লেষণ। তাদের উন্নতির পথগুলো চিহ্নিতকরণ।
কিশোর বয়সীদের সাথে এত এত দিকের সাধারণত সম্পর্ক থাকে না। কিন্তু বইয়ে উল্লেখ করা সংগঠনটির চিন্তাধারা, সব কিশোরের মাঝেই লুকিয়ে থাকা প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটানো যা লেখকের স্বপ্নের পৃথিবীর কিশোরদেরকে এতসব বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে পেরেছে। ওয়েসিস অফ দ্যা সিস—একটি চেতনামূলক কাহিনিবিন্যাস।
-ওয়েসিস অফ দ্যা সিস
-লেখক : মাসউদ আহমাদ
-মুদ্রিত মূল্য : ১৮০
-প্রকাশনায় : মাকতাবাতুল হাসান