
রিভিউ লেখার সময় : জানুয়ারি ২, ২০১৯
দুই শহরের গল্প। লন্ডন এবং প্যারিস। লন্ডন থেকে প্যারিসের পথে কাহিনির শুরু। একজন ব্যাংকার কেবল তারুণ্যে পা দেওয়া একজন মেয়েকে নিয়ে লন্ডন থেকে প্যারিস যান। সেখানে মেয়েটি প্রথম দেখতে পায় তার পিতাকে। অথচ এতদিন ধরে সে জেনে এসেছিল তার পিতা নেই, তিনি জীবিত নন। মূল কাহিনি শুরু হয়েছে এর পর থেকেই। অবশ্য বলতে পারছি না, পুরো গল্পটার কেন্দ্রে কে বা কী রয়েছে। তা ফ্রান্সের জাগরণ নাকি লুসি ম্যানেট। এভাবে হয়তো বলা যায়, মেয়েটিকে কেন্দ্র করে বইটি রচনা করা হয়েছে ফ্রান্সের গণবিপ্লব বিষয়ের ওপর। ‘জ্যাক’ ভাইয়েরা আমার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল প্রায়। অপস্! সবার নামই জ্যাক নাকি? না, কার নাম জ্যাক? কে জ্যাক? অতঃপর কখন কোন জ্যাক কথা বলে তা বুঝতে চাইছিলাম। পারিনি অবশ্য। চেষ্টা করতেও আর ইচ্ছা করেনি।
চার্লস ডিকেন্সের অন্য বইগুলোর মতো এ বইটিও সুন্দর করে লেখা, আর এতে রয়েছে ছোট ছোট পর্বে বিভক্তি। তা আমার ভালো লেগেছে সত্য, কিন্তু শেষ পরিণতিটা বড্ড বিয়োগান্তক। তথাপি এ কথা মেনে নিচ্ছি, যাকে শেষমেশ জীবিত দেখতে চেয়েছিলাম সে-ই বেঁচে গিয়েছিল তার মতোই চেহারার বন্ধুটির জীবনের বিনিময়ে এবং মৃত্যুর আগে বন্ধুটির প্রতি একইপথযাত্রী অন্য মেয়েটির গভীর মমতা আমার ভালো লেগেছিল।
বইটি সংগ্রহ করতে নিচের অ্যাফিলিয়েট লিংকটি ব্যবহার করুন—
(বইয়ের নামের ওপরে ক্লিক করুন)