দিনলিপি

কার সাধ্য আমার চাকার গতি মন্থর করে

মাসউদ আহমাদ

২৬ মে ২০১৭


এতটা রেগে যাবেন আব্বা, আমি ধারণা করিনি। গভীর রাতে তখন ডুবে ছিলাম, গভীরে ‘বই’ নামক সাগর-শাখার। সাগরে রঙিন ঝিনুক ছিল, ঝিনুকে মুক্তা, সবই জ্ঞানের। ঝিনুক-ঝিনুক মুক্তার লোভ সামলাতে অপারগ ছিলাম। পড়ছিলাম, ইতিহাসের পাতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার ‘জীবন-চৈতন্য’ ঘুরে ফিরছিল তখন বুখারা-সমরকন্দ-তুর্কিস্তানে।

জীবন সফল হবেই, সাফল্য-মনীষা আমাকে জড়িয়ে ধরবে, এই আমি মনীষী হতে পারব, দিব্যি কেটে আমি তা বলতে সমর্থ নই। যে পথের মনজিলে সফলতার হাতছানি, ‘হাতছানি দিয়ে ডাকে এই আমাকে’, আমি তো পারি কেবল নিজের জীবনচাকা সে পথে চালিয়ে দিতে!

রাত তারাও জেগেছেন, পড়েছেন, তাদের আম্মা-আব্বাও নিষেধ করতেন, রেগে যেতেন, ধমক দিতেন, তবু জাগতেন, পড়তেন নানান কৌশলে, তারা মনীষী হতে পেরেছেন। ধমক আমাকেও খেতে হবে, বই পড়তে হবে লুকিয়ে রাত জেগে, কার সাধ্য আমার চাকার গতি মন্থর করে!

Series Navigation<< অ্যাপ্লাই করেছি কলেজেতামাশা >>
এই রচনাটি ‘কলেজিং’ সিরিজের একটি অংশ। মোট 9 অংশে বিভক্ত এই সিরিজটি। বর্তমান অংশটির ক্রমিক হলো 4। হ্যাপি রিডিং!

Related Articles

Back to top button
error: উঁহু, কপি করতে চান নাকি!